অনলাইন ডেস্ক
পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডারখ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিল পানিতে ডুবে গেছে। এতে ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমনের চারা পানিতে ডুবে রয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালের দিকে গিয়ে দেখ যায় পানিতে পুরো বিল যেন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। কাপ্তাই সড়কের গুমাইবিলের মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের বিশাল এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।
বিশালাকৃতির ডোবার রূপ নিয়েছে এই শস্যভাণ্ডার। অন্তত ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত পানি জমে রয়েছে বিলে। বিলের পাড়ে কৃষকদের উদ্বিগ্ন হয়ে রোপণ করা চারাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের গুমাই বিল ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, গুমাই বিলের সাড়ে তিন হাজার হেক্টরের মধ্যে ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর রোপণ হয়। চলতি মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে গুমাইবিল সহ কিছু বিল পানির নিচে রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পানি নেমে গেলে আমন চাষে তেমন ক্ষতি হবে না। এবার ৭০ শতাংশ ব্রি-৫১ রোপণ করা হয়। যা বন্যার পানিতে ১৪ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জোয়ারের পানি আসলে পানি বেড়ে যায় আর ভাটা পড়লে পানি কমে যায়। যদি ৭ দিন পর্যন্ত পানিতে ধানের চারা ডুবন্ত অবস্থায় থাকে তাহলে ব্রি-৫১ ও ৫২ ছাড়া অন্যান্য জাতের কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা কৃষকদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বৃষ্টি থেমে গেলে দ্রুত রিকভার করতে পারেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, গুমাই বিলের পানি যাতে নেমে যায়, পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয় নজর রাখা হচ্ছে। গত তিনদিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিল সহ একাধিক বিল পানির নিচে রয়েছে। এবার বেশির ভাগ কৃষক বন্যা সহনশীল জাতের আমন চারা লাগিয়েছেন। টানা কয়েকদিন পানি থাকলেও এসব চারা নষ্ট হবে না।
গুমাই বিলের কৃষকরা জানান, বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে কখনই পানি বাড়েনি। এভাবে পানি জমে থাকলে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
Leave a Reply